Description
হাড়গুঁড়ার পুষ্টিগুণ
হাড়গুঁড়া প্রধানত ফসফরাস (P) এবং ক্যালসিয়াম (Ca) সমৃদ্ধ, যা উদ্ভিদের শিকড়, ফুল এবং ফল বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
উপাদান | উপকারিতা |
---|---|
ফসফরাস (P) | উদ্ভিদের শিকড় গঠনে সহায়তা করে এবং ফুল ও ফলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে। |
ক্যালসিয়াম (Ca) | কোষের গঠন মজবুত করে এবং উদ্ভিদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। |
নাইট্রোজেন (N) (স্বল্প পরিমাণে) | গাছের সবুজ পাতা ও কাণ্ড বৃদ্ধিতে সহায়ক। |
বাগানে হাড়গুঁড়ার উপকারীতা
✅ ফুল ও ফলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে – বিশেষ করে গোলাপ, টমেটো, মরিচ, স্ট্রবেরি, আপেল ইত্যাদির জন্য খুব উপকারী।
✅ মাটির উর্বরতা বাড়ায় – দীর্ঘস্থায়ী পুষ্টি সরবরাহ করে যা ধীরে ধীরে গাছের শিকড় গ্রহণ করে।
✅ শিকড়ের বিকাশে সাহায্য করে – নতুন গাছ লাগানোর সময় এটি ব্যবহার করলে শিকড় দ্রুত শক্তিশালী হয়।
✅ মাটির pH নিয়ন্ত্রণ করে – অ্যাসিডিক মাটিতে ক্যালসিয়াম সরবরাহ করে ভারসাম্য বজায় রাখে।
✅ জৈবিক সার হিসেবে নিরাপদ – রাসায়নিক সার ব্যবহারের চেয়ে পরিবেশবান্ধব এবং নিরাপদ।
হাড়গুঁড়ার ব্যবহার পদ্ধতি
১. সরাসরি প্রয়োগ
🔹 গাছ লাগানোর সময়: মাটির সঙ্গে ১০০-২০০ গ্রাম (১-২ মুঠো) হাড়গুঁড়া মিশিয়ে নিন।
🔹 ফুল ও ফলের গাছে: প্রতি ২-৩ মাস পরপর ৫০-১০০ গ্রাম ছিটিয়ে মাটির সাথে মিশিয়ে দিন।
২. তরল সার তৈরি করে ব্যবহার
🔹 ১ কেজি হাড়গুঁড়া ১০ লিটার পানিতে ৭ দিন ভিজিয়ে রেখে তরল সার তৈরি করুন।
🔹 গাছের গোড়ায় ২০০-২৫০ মি.লি. করে প্রয়োগ করুন (১৫-২০ দিন পরপর)।
৩. কম্পোস্টের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার
🔹 হাড়গুঁড়া কম্পোস্টের সঙ্গে মিশিয়ে দিলে পুষ্টি উপাদান দ্রুত মাটিতে মিশে যায়।
সতর্কতা ও বাড়তি টিপস
✅ মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার করবেন না – এটি মাটিতে অতিরিক্ত ফসফরাস জমা করে ফেলতে পারে, যা উদ্ভিদের জন্য ক্ষতিকর।
✅ রাসায়নিক সার ও হাড়গুঁড়া একসঙ্গে মেশাবেন না – এটি মাটির ব্যাকটেরিয়ার কার্যকারিতা কমিয়ে দিতে পারে।
✅ কুকুর বা অন্যান্য প্রাণী থেকে দূরে রাখুন – কারণ অনেক প্রাণী এর গন্ধে আকৃষ্ট হয়।
শেষ কথা
হাড়গুঁড়া হলো একটি দুর্দান্ত প্রাকৃতিক সার যা গাছের শিকড়, ফুল এবং ফল বৃদ্ধিতে সহায়ক। সঠিক পরিমাণে ও নিয়মিত ব্যবহারে এটি আপনার বাগানের উর্বরতা বাড়িয়ে তুলতে পারে। 🌿🌸